হিটলার কেন ইহুদিদের হত্যা করে?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৬০ লক্ষ ইহুদী হত্যা করেছিলেন এডলফ হিটলার। ইতিহাসে এটি ‘হলোকস্ট’ নামে পরিচিত।
হিটলার মনে করতেন ইহুদীরা চক্রান্তকারী। ইহুদীদের বিশ্বাসঘাতকার কারণে ক্রশবিদ্ধ হয়েছিল যীশু। বিশ্বে আজ যত চক্রান্ত চলে তার মুলে এই ইহুদীরা। ইহুদীদের শেষ করে দিতে না পারলে বিশ্বকে পুরো পুরি দখল করা যাবে না।এমন একটি নিজস্ব কাল্পনিক জগতে বাস করতো হিটলারের মন।
১৯৩০ সালে জার্মানীতে ক্ষমতায় আসে নাৎসী বাহিনী। এই ক্ষমতায় আসার পিছনে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা পালন করেছিল এন্টি সেমিটিজম বা ইহুদি বিদ্বেষের ব্যাপক প্রচারণা।১৯৩৩ সালে হিটলার জার্মানী রাষ্ট্রপ্রধান হবার পর ইহুদী হত্যা আর লুটতরাজ বাড়তে থাকে। এভাবে অত্যাচার করেই ইহুদীদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে চেয়েছিল হিটলার। কিন্তু নিজের দেশ থেকে কাউকে এভাবে বের করে দেয়াটা সহজ ছিল না।
১৯৩৫ সালে নতুন আইন চালু করে হিটলার।দেশে জার্মান আর ইহুদী আলাদা ভাগ করেন। ইহুদীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়, চাকরি থেকে বাদ দেয়া, বন্ধ করে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। সেসময় ইহুদীদের হাতে একটি বিশেষ ব্যন্ড পরে রাস্তায় চলাচল বাধ্যতামুলক করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করতে শুরু করেন ইহুদীদের।৬০ লক্ষ ইহুদীকে হত্যা করে হিটলার। ৮/১০ লক্ষ ইহুদী কোন রকমে পালিয়ে বেঁচেছিল।
জার্মান জনগনের মধ্যে ইহুদি বিদ্বেষ ছিল অমানবিক পর্যায়ে। ইহুদীদের প্রতি অমানবিক অত্যাচারের ব্যাপারে শতভাগ সমর্থন ছিল জার্মান জনগনের। তারা মনে করতো সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের চেয়ে অনেক বেশি অত্যাচার করেছে ইহুদীদের। তাই শুধু হিটলারকে একা নয় ইহুদী নিধনের জন্য সমানভাবে দায়ি জার্মান জনগনও।১৯৪৮ এ ব্রিটেনের মদদে, জাতিসংঘের মধ্য দিয়ে ইহুদীদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠিত হয়।ফিলিস্তিনিদের কাছে থেকে তাদের ভুখন্ড ছিনিয়ে নিয়ে বানানো হয়েছিল এই রাষ্ট্র। এক অপরাধ থেকে বাঁচতে গিয়ে আরেক অপরাধ করা হয়। সে অন্য ইতিহাস। এখন সেই ইহুদীদের একমাত্র রাষ্ট্র ইসরাইলে বাস করে ৯০ লাখ ইহুদি।হিটলারের ইহুদী নিশ্চিন্ন করার সেই মহাপরিকল্পনা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে যায়।
Post a Comment