﷽ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّهِ وَبَرَكاتُهُ
মানুষ সাধারণত চোখে যা দেখে,কানে যা শুনে তা দিয়েই কল্পনার জগৎ তৈরি করতে পছন্দ করে।হোক সেই চোখের দেখা সত্য কিংবা মিথ্যা।মানুষের এই কৌতুহলকে ঘিরে তৈরি হয় নাটক,সিনেমা।যেই নাটক -সিনেমাগুলোতে মানুষের বাস্তব জীবনের নানা ঘটনাবলীকে তুলে ধরা হতো।এই নাটক-সিনেমাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে সিনেমাহল তথা থিয়েটারশিল্প। এই থিয়েটারশিল্পে যে নোংরা, অশ্লীলতা ঢুকবে তা কখনোই জ্যান্টাইলরা ভাবতে পারেনি।এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে ইহুদীরা।জ্যান্টাইলদের এই কৌতুহল,আনন্দ -উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে ইহুদীরাই প্রথম থিয়েটারশিল্পে তথা নাটক-সিনেমায় অশ্লীলতার জন্ম দেয়।
বলশেভিক বিল্পবে রাশিয়ার বড় বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গুলো ধংস হয়ে যায়,তবে অক্ষত থেকে যায় থিয়েটার, সিনেমা ব্যাবসা।এর পেছনেও ইহুদিদের নোংরা ষড়যন্ত্র লুকিয়ে ছিলো।ইহুদীরা জানতো যে এই শিল্পকে ধংস করলে তারা বিশ্ববাসীর সামনে থেকে নিজেদের আধিপত্য হারিয়ে ফেলবে,তাই তারা ইচ্ছে করে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে অক্ষত রেখেছিলো।
আমেরিকার বাজারে প্রথম থিয়েটারশিল্প গড়ে উঠে ইহুদিদের হাতেই।আজকের এই আমেরিকা আগে এতটা অসভ্য ছিলোনা।মূলত তাদের "ব্রেইন ওয়াশ " করা হয়েছিলো।ইহুদীরা আমেরিকানদের ব্রেইন ওয়াশ করতে নাটক -সিনেমা তথা এই শিল্পটাকেই বেছে নেয়।শুধু আমেরিকা নাহ,বর্তমানে যত অশ্লীল সিনেমা,ধর্মের বিকৃত ঘটিয়ে সিনেমা সবই এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীটির কৃতকাজের একটি নমুনা মাত্র।
চলচ্চিত্র শিল্প বাজারে আসার আগেই থিয়েটারগুলোতে ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টার নাটক-সিনেমা পরিবেশন করা হতো।যা দেখার জন্য মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিলো।কিন্তু এই ইহুদীরা নোংরা চালের মাধ্যমে সিনেমা দেখাবোর জন্য থিয়েটার গুলোতে সময় বাড়িয়ে দেয়,যাতে করে তাদের বাড়তি মুনাফাও লাভ হলো আবার জ্যান্টাইলদের ব্রেইন ওয়াশ করা হবে,মানে এক ঢিলে দুই পাখি মারা।
বিনোদনের নামে থিয়েটারগুলোতে প্রথমেই ধর্মীয় আঘাত আনা হয়।নাটক-সিনেমাগুলোতে "যীশু খ্রিষ্ট" (মুসলিম ধর্মমতে নবি ঈসা (আ:))এবং "মাতা মেরি " (মুসলিম ধর্মমতে নবি ঈসা (আ:) এর মাতা মরিয়ম)এই চরিত্র দুটোকে খুবই বাজে, নোংরা ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিলো।যা কোনো ধর্মপ্রান খ্রিস্টান কিংবা মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব ছিলোনা।"Aphrodite "নাটকের শেষ সিজনকে কেন্দ্র করে একটি বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়।" Aphrodite "হলো গ্রিকদের সুন্দরতম ও ভালোবাসার দেবী।এই চরিত্রটিকে ইহুদীরা নগ্নতা দিয়ে উপস্থাপন করেছিলো।নাটকটিকে আরো অশ্লীল করার জন্য " Aphrodite "চরিত্রে থাকা অভিনেত্রীকে অশ্লীল পোশাকে উপস্থাপন করা হয়।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাটকটি মুক্তি পাওয়ার প্রথম দিনেই নিউইয়র্কের পুলিশ এই নাটকটির বিরুদ্ধে মামলা করেন।কিন্তু কোনো লাভ হয়নি;কারন ইহুদিরা নিজেদের আয়ত্তে থাকা সংবাদমাধ্যম হতে জ্যান্টাইলদের বিশ্বাস সংগ দিয়ে ব্যাপারটিকে ধামাচাপা দিয়ে দেয়।ইসলাম ধর্মকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি সিনেমা-নাটক তৈরি করা হয়েছিলো।শুধু তাই নয় ভিন্ন ধর্ম-জাতি-গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে ইহুদীরা তৎকাল থেকেই বিকৃত সিনেমা -নাটক বানিয়ে জ্যান্টাইলদের ব্রেইন ওয়াশ করে আসছে।থিয়েটারশিল্পে ইহুদিদের একমাত্র লক্ষ্য হলো "নাস্তিকতা", জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ সৃষ্টি ইত্যাদি। এভাবেই ধর্মপ্রান জ্যান্টাইলদের টারগেট করে এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীটি তাদের নাস্তিক বানিয়ে ছাড়ছে।
ইহুদিরা নিজেদের বীরত্ব নিয়ে এই অব্দি যত সিনেমা বানিয়েছে সবই ভুয়া, বানোয়াট ;বরং জ্যান্টাইলদের মধ্যে যারা বীরত্বের সাথে পৃথিবী শাসন করেছিলো তাদের চরিত্রটিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আসছে।নাটক-সিনেমার ভেতর নোংরা গানের প্রচলন শুরু করে ইহুদিরা,এরপর নাচ-গানকে আরো জমকালো করার জন্য অভিনেত্রীদের অশ্লীল জামা-কাপড়ে সজ্জিত করা হতো।এক্ষেত্রে মূল টারগেট ছিলো "তরুন সমাজ"। তরুণদের ভেতর অতি আকাঙ্খা দেখে দিনের পর দিন নাটক-সিনেমায় অশ্লীলতা বেড়েই চলেছিলো।সোজা কথায় বলতে গেলে নাচ-গানে অভিনেত্রীদের জামা-কাপড়ের আকার যত ছোট হতে থাকলো তরুণদের সংখ্যা ততই বাড়তে লাগলো।সাধারণ মনে প্রশ্ন জাগতে পারে জ্যান্টাইলরা এইসব কিছু কিভাবে সহ্য করতো!তারা কেনো কোনো প্রতিবাদ করতো নাহ?
আসলে ইহুদিরা এইসব নাটক -সিনেমা গুলোকে কখনোই প্রত্যক্ষভাবে পরিচালনা করতো নাহ,মানে ছদ্মনাম ব্যাবহার করা হতো।এইসব কাজকর্ম যে ইহুদিরা করছে তা জনসাধারণ তো দূর কোনো কাক-পক্ষীও টের পেতোনা।১৯১৮-১৯১৯ সালের দিকে ইহুদিরা একটি মাঝারি মানের টিকিট বিক্রি করে ৪৫০০-৫০০০ ডলার আয় করতো।এরপর বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় বড় বড় ব্যাবসা কেন্দ্রিক শহরগুলোতে থিয়েটার গড়ার কাজ শুরু হয়।একদিকে জ্যান্টাইলরা নিজেদের কষ্ট করে আয় করা টাকা দিয়ে এইসব নোংরা, অশ্লীল, ধর্মবিকৃতি,উস্কানিমূলক নাটক-সিনেমা দেখতো।অন্যদিকে ইহুদিদের ভাগে বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাহাড় গড়তে লাগলো।
এইসব অশ্লীল নাটক-সিনেমার বিরুদ্ধে তখনকার সুশীল সমাজের জ্যান্টাইলরা এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আন্দোলন করতে গেলে তাদের টাকা দিয়ে, লোভ দেখিয়ে কিংবা জীবননাশের হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করা হয়েছিলো।যেসব আন্দোলনকারীরা পিছু হটতে চায়নি তাদের নামে নিজস্ব সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয় এবং এদের জীবন ধংস করা হয়।এভাবেই শিল্প-সংস্কৃতি কিংবা শালীন নাটক-সিনেমা প্রচারের ইতি ঘটে।
এই শিল্পের শালীনতা ধংস করার পর ইহুদিরা থিয়েটার শিল্পকে নিয়ে আবার নোংরা চাল শুরু করে। অবশেষে থিয়েটার শিল্পকে ৪ টি ভাগে ভাগ করা হয়।যথা-
◩ নতুন নতুন যন্ত্র-সামগ্রী, জমকালো জামা-কাপড়,মঞ্চ ক্যামেরা,বাদ্যযন্ত্র, ঝাড়বাতি এইসব ব্যাবহার করে থিয়েটার গুলোতে "রিয়েলিস্টেক ইফেক্ট" নিয়ে আসা।এতে করে যারা নাটক-সিনেমা দেখতে আসছেন তাদের আরো সহজে আকৃষ্ট করা যেতো।প্রতিভাবানদের ছাটাই করে অযোগ্যদের দিয়ে এসব পরিচালনা করা হতো।
◪ থিয়েটারগুলোতে শ্রেনিবিভাজন করা, সম্পদশালীদের কাছে অশ্লীলতা প্রদর্শন উঁচু করে করা আর নিচু শ্রেনিতে অশ্লীলতা ছোট আকারে প্রদর্শন করা। মানে টাকার পরিমানে অশ্লীলতা প্রদর্শন করা হবে।
◩ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের "স্টার" উপাধি দেয়া।মূলত যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যত অশ্লীলতা দেখাতো তাদের ততবড় সম্মান।এভাবে "স্টাররা" তাদের নোংরা মানসিকতাকে সবার সামনে জাহির করতে হবে আর তৈরি করতে হবে অসুস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
◪ ১৮৮৫ সালের পরে থিয়েটার শিল্পে দুটো নতুন বিষয়ের সংযোজন। সেগুলো হলো-বক্স অফিস এবং বুকিং এজেন্সি। মুনাফার পরিমান বাড়ানোই মূল উদ্দেশ্য। বুকিং এজেন্সি গুলো ক্রেতার সন্ধানে ব্যাস্ত থাকবে, যার ফলে সারা বছরের জন্য থিয়েটার হলগুলো কিনে নেয়া হবে।মূলনীতি একটাই-সমাজ যা দেখতে চাইবে, তাই-দেখাও;হোক সেটি বস্তাপচা জিনিস।
─•~❉اللہ حافظ❉~•─
লেখক : মাতিন রাইয়ান (SI & WRITER)
Osthir!!
ReplyDeleteJoss
ReplyDeleteSheiii
ReplyDeleteVery mysterious
ReplyDeletePost a Comment